ads

what is digital marketing || ডিজিটাল মার্কেটিং এর গাইডলাইন

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো পণ্য, পরিষেবা, বা সার্ভিসের বিপণি ও বিপণির উপর মার্কেটিং করার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করা হয় তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। এটি মূলত অনলাইন মাধ্যমে এ হয়, কিন্তু এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে সোশ্যাল  মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), পেই-পার ক্লিক (PPC) বা অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যম যা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে তথ্য সামগ্রী বা বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়া হয় বিশ্বের সকল মানুষের কাছে।

what is digital marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূখ্য উদ্দেশ্য হলো টার্গেট কাস্টমার অভিজ্ঞান তৈরি করা, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন এবং অনুসন্ধান প্রক্রিয়াগুলি দ্বারা লক্ষ্যমূলক সংবাদ এবং বিজ্ঞাপন তৈরি করা, এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্প্রদান তৈরি করা। এটি মার্কেটারদের প্রযুক্তিগত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল্যবৃদ্ধি, বিপণি ভারসাম্য, এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ভাকে ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সকল প্রকার প্রচার ও বিপণনের পদ্ধতি। এটি প্রায়শই ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সার্চ ইঞ্জিন, ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইত্যাদির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখানোর জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ:

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে যোগাযোগ করা এবং পণ্য বা সেবা প্রচার করা।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO): ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য অনলাইন সম্পদ সর্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র্যাঙ্কিং অর্জন করার জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ, কনটেন্ট লেখা, ব্যাকলিংক তৈরি ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা।

ই-মেইল মার্কেটিং: ক্রেতাদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং নতুন প্রস্তুতি, অফার, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির জন্য ই-মেইল ব্যবহার করা।

কন্টেন্ট মার্কেটিং: উচ্চ-মানের কন্টেন্ট তৈরি করে আকর্ষণীয় এবং মানুষের মধ্যে নিজের ব্র্যান্ড স্থাপনের জন্য ব্যবহার করা।

পেই-পার ক্লিক (PPC): সার্চ ইঞ্জিনে বা অন্যান্য ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য প্রদত্ত পরিমাণ পরিশোধ করা।

ওয়েব অ্যানালিটিক্স: ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক, ব্যবহারকে ট্র্যাক করা এবং ডেটা বিশ্লেষণ করা যাতে পরিচালনার নির্ধারিত লক্ষ্যগুলি অর্জন করা যায়।

মোবাইল মার্কেটিং: অ্যাপ্লিকেশন বা এসএমএস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের সাথে সাংযোগ ও বিপণন করা।

ই-কমার্স মার্কেটিং: ই-কমার্স প্লাটফর্মে পন্য বা সেবা বিক্রি এবং প্রচার করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা।

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কী ?

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কী" হলো ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্রেসেন্সের উন্নতমানের জন্য কীভাবে সার্চ ইঞ্জিন গুলির অনুসন্ধানের জন্য আপনার সাইট বা পোস্ট কে অনুপ্রাণিত করা যায়। এটি আপনার ওয়েবসাইটের প্রকাশিত বিষয়ের কীওয়ার্ড, মেটা ট্যাগ, পোস্টের শিরোনাম এবং বিষয়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন গুলির কাছে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বা দেখানোর সুযোগ বাড়ানো যায়।

এছাড়াও, কোনও কোডিং পদ্ধতির ব্যবহার, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য উন্নত ওয়েবসাইট ফাংশনালিটির মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটি প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বা দেখানোর সুযোগ বাড়াতে পারেন এবং আরও অনেক কাস্টমারকে আপনার পণ্য বা পরিষেবার সাথে সংযুক্ত করতে সাহায্য করতে পারেন।

SEM বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং 

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing, অথবা SEM) হলো এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা সার্চ ইঞ্জিনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বা কনভারশন (conversion) বা নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপের সংখ্যা বা মূল্যসহ ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বা সংস্পর্শে প্রভাব বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং প্রকারগুলির মধ্যে একটি প্রধান হলেও এর মূল লক্ষ্য সার্চ ইঞ্জিন বা গুগলের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা ও সংস্পর্শের মাধ্যমে উপস্থিতি বাড়াতে লক্ষ্য করা।

SEM এর প্রধান উপাদান হলো সার্চ ইঞ্জিন অ্যাডভার্টাইজিং (Search Engine Advertising) এবং এর জন্য ব্যবহৃত হতে পারে পেইড সার্চ মার্কেটিং (Paid Search Marketing) এবং অর্গানিক সার্চ মার্কেটিং (Organic Search Marketing) ।

পেইড সার্চ মার্কেটিং: এখানে বিজ্ঞাপন করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটার গুগল, বিং, ইউটিউব, বিঙ্গ ইত্যাদি অনেক সার্চ ইঞ্জিনে পেইড বিজ্ঞাপন দেখান। এই বিজ্ঞাপন গুলি সার্চ ইঞ্জিনের মূল অনুসন্ধান ফলাফলে উপস্থিত হয় এবং বিশেষ কীওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে দেখানো হয়। এই পেইড বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কীওয়ার্ড বিন্যাস, বিজ্ঞাপন লেখা, বাজেট নির্ধারণ ইত্যাদি ব্যবস্থা করা হয়।

অর্গানিক সার্চ মার্কেটিং: এখানে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডে উপস্থিত করার জন্য এসইও (SEO) ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাংকিংস বা স্থানপ্রাপ্তি বাড়ানো হয়।

SEM এর গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হলো লক্ষ্যমূলক ক্যাম্পেইন চালিয়ে ট্রাফিক, কনভারশন এবং আগ্রহী সংস্পর্শে উপস্থিতি বাড়াতে সাহায্য করা। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজির অন্যান্য অংশগুলির সাথে সমন্বয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে যেখানে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড বা বিষয়ে ব্যক্তিগত বা ব্রান্ড কন্টেন্ট বা বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিং হলো এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উপভোগকারীদের জন্য মূল্যবান এবং মোটিভেটিং কন্টেন্ট তৈরি এবং প্রচারিত হয়। এটি মূলত মূল্যবান তথ্য, মজার অনুভব, উপভোগ ও শেখার সুযোগ সরবরাহ করে এবং কোনো প্রোডাক্ট, সেবা বা ব্র্যান্ডের প্রচারে সাহায্য করে।

কন্টেন্ট মার্কেটিংের উদাহরণ প্রকারগুলি নিম্নলিখিত:

ব্লগ পোস্ট: ব্লগ পোস্ট হলো একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লেখা যা নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য, পরামর্শ, পর্যালোচনা ইত্যাদি সরবরাহ করে। এই পোস্টগুলি সাধারণত নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড বা বিষয়ে খোঁজে পাওয়া সার্চ ইঞ্জিন মেকার্স মাধ্যমে অনুসন্ধানকারীদের সাথে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয়।

আরও পড়ুন.....দ্রুত এবং নিরাপদে ওজন বৃদ্ধির জন্য খাবার || mota howar upay

ভিডিও কন্টেন্ট: ভিডিও একটি প্রকার গতিময় এবং উপভোগযোগ্য কন্টেন্ট প্রকাশের জন্য প্রচুরভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্র্যান্ডের বা প্রোডাক্টের মার্কেটিং, টিউটোরিয়াল, ব্র্যান্ড পরিচিতি বা উপভোগকারীদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টিং: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয়, যা ব্যবহারকারীদের উপভোগ ও সংজ্ঞান বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়।

ইমেল মার্কেটিং: ইমেল মার্কেটিং প্রক্রিয়াটি মেলেমেশি কন্টেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সাম্প্রতিক সংযোগ ও বিভিন্ন প্রস্তাবের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক, কারণ এটি আপনার সংস্থা বা ব্র্যান্ডের মাঝে সম্পর্ক গঠনে সাহায্য করে, গ্রাহকদের সাথে আরও অনুপ্রাণিত সংযোগ তৈরি করে এবং সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিংস এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনার উপস্থিতি বাড়াতে সাহায্য করে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কী 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পণ্য, পরিষেবা বা ব্র্যান্ডের প্রচার ও বিপণন করা হয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে। এটি মূলত মাধ্যমের মাধ্যমে টার্গেটেড পাবলিকের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে একত্রিত হওয়ার এবং তাদের সাথে এক্সপেরিয়েন্স ভাগ করার মাধ্যমে ব্র্যান্ড সংজ্ঞা গড়ে তোলা।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরিচালনা করা হলে, সংস্থা বা ব্র্যান্ড তাদের লক্ষ্যগুলি অনুসরণ করতে সক্ষম হয় এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির মাধ্যমে লক্ষ্যমূলক প্রচার বা প্রচার পরিচালনা করতে পারে। এটি সামাজিক মাধ্যমের প্রতিটি প্লাটফর্মের জন্য পোস্ট তৈরি করে, টার্গেট পাবলিকের সাথে ইন্টারেকশন বা যোগাযোগ করে, এবং ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন সামগ্রী শেয়ার করে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংের মাধ্যমে ব্র্যান্ড অবগতি বাড়ানো এবং সংস্থা সংজ্ঞা গড়ে তোলার জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলি স্থাপন করা হয়। এটি ব্যবহার করে ব্র্যান্ড ইমেজ নির্মাণ, নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ ও রক্ষণ, পূর্ব গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, আইডিয়াগুলির পরীক্ষা করা, এবং সংগ্রহগুলি সংগ্রহ করা যায়। এটি সামাজিক মাধ্যমের অত্যন্ত ব্যবহৃত প্লাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্র্যান্ডের সাথে পাবলিকের সাথে সাম্প্রতিক যোগাযোগ ও অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে। এটি প্রচুর মাত্রার প্রবৃদ্ধির কারণে ব্র্যান্ড এবং সেবা সংস্থা সামাজিক মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ডিং উপায় হিসাবে স্বীকৃতি পায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া যেখানে একটি প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিপণনে সাহায্য করে এবং বিপণন করে, এবং প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের পরিবার থেকে কিংবা ব্যক্তি ব্যক্তির বরাদ্দকৃত অ্যাফিলিয়েটদের মাধ্যমে মূল্য উপার্জন করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রক্রিয়াটি সাধারণত নিম্নলিখিত তিনটি পক্ষের মধ্যে চলতে থাকে:

প্রকৃত পণ্য বা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান: এই পক্ষ প্রতিষ্ঠানটি যে পণ্য বা সেবা প্রদান করে সেই পণ্য বা সেবার জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম তৈরি করে এবং অ্যাফিলিয়েটদেরকে তাদের পণ্য বা সেবা পরিবর্তে মূল্য উপার্জন করার জন্য সুযোগ প্রদান করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারস: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বা এফিলিয়েট পার্টনারগুলি সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রমোট এবং বিপণন করে তাদের সামগ্রিক নেটওয়ার্ক এবং সাম্প্রতিক পাবলিশারদের মাধ্যমে মূল্য উপার্জন করে।

স্বাধীন পাবলিশারস: স্বাধীন পাবলিশারগুলি ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ইমেল নিউজলেটার ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্য বা সেবা প্রমোট এবং বিপণন করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের মাধ্যমে মূল্য উপার্জন করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ মূল্য প্রদান বাদে সাধারণত কোনো নিবন্ধন বা সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন নেই, বরং মূল্য উপার্জন করার জন্য প্রতিষ্ঠান বা প্রোডাক্ট প্রচারে যে সহায়ক বা পরিচালক আপনি বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছেন, তাদের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রি করা হয়।

Amazon Associates: আমাজন এসোসিয়েটস প্রোগ্রাম মাধ্যমে লোকেরা আমাজনের ওয়েবসাইটের উপরে প্রয়োজনীয় পণ্যের লিঙ্ক শেয়ার করে আমাজনের সাথে সম্পর্কে বিক্রি করতে সাহায্য করে এবং মূল্য উপার্জন করে।

ClickBank: ক্লিকব্যাঙ্ক হ'ল একটি বিশেষভাবে ডিজিটাল পণ্যের বিক্রোতা এবং মার্কেটপ্লেস যেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার নিবন্ধন করে পণ্য বিক্রি করতে পারে।

ShareASale: এটি একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক যেখানে প্রতিষ্ঠানরা তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার এবং মার্কেটিং করার জন্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে সংযোগ করে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং প্রক্রিয়া হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানরা পণ্য বা সেবা প্রচার এবং বিপণনের জন্য এই প্রকারের প্রোগ্রাম ব্যবহার করে তাদের লাভালভী প্রচেষ্টা করে।

ইমেইল মার্কেটিং কী

ইমেইল মার্কেটিং হলো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া যেখানে ইমেইল প্রচার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বার্তা পাঠানো হয় গ্রাহকদের কাছে যা ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়ানো, পণ্য ও পরিষেবা বিপণন করা এবং গ্রাহকের সাথে সংযোগ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে। ইমেইল মার্কেটিং সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে মানুষকে প্রচারিত মেসেজ পেতে ব্যবহৃত হয় যারা তাদের ইমেইল ঠিকানা প্রদান করেছেন।

ইমেইল মার্কেটিংের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

টার্গেটিং: ইমেইল মার্কেটিং সাধারণত টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য ব্যবহৃত হয় যাতে বার্তা মূল্যবান হোক এবং লক্ষ্যমূলক মার্কেটিং প্রচার করা যায়।

পার্সোনালাইজেশন: ইমেইল মার্কেটিংে পার্সোনালাইজেশন ব্যবহৃত হয় যাতে প্রাপকদের সংস্পর্শে বিশেষ মূল্য উপার্জন করা যায়।

অটোমেশন: ইমেইল মার্কেটিং অটোমেশন ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা প্রেরণ করতে পারে যেমন স্বাগত ইমেইল, প্রতিদিনের সংবাদপত্র, স্মার্ট ফলোআপ ইত্যাদি।

পারফর্মেন্স মনিটরিং: ইমেইল মার্কেটিং প্রচারের পারফর্মেন্স মনিটরিং এবং মেট্রিকস ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানরা তাদের মার্কেটিং প্রচারের জন্য অনুমোদিত মানুষের জন্য কোনও পরিবর্তন এবং উন্নতি করতে পারে।

পরিস্কার কল টু অ্যাকশন: ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে প্রচারিত বার্তা প্রেরণ করে, যা গ্রাহকদেরকে কোনও প্রতিসাদ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে।

এই সব সম্প্রসারিত হলো ইমেইল মার্কেটিংের বিভিন্ন দিক, যা প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক বিকাশ এবং মার্কেটিং প্রচারে সাহায্য করে।

সিপিএ মার্কেটিং কী

সিপিএ মার্কেটিং হলো সেবা বা পণ্যের মার্কেটিং প্রক্রিয়ার একটি বিশেষ ধরনের রূপ, যা সামাজিক দায়িত্ব এবং সামাজিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে কাজ করে। এটি একটি কোম্পানি বা সংগঠন যেখানে প্রধান লক্ষ্য হলো লাভের সাথে সামাজিক উন্নতির সংস্কার বা গ্রাহকদের সংস্থান সাথে আপেক্ষিক মিলন এবং সম্পর্ক উন্নতি।

এই ধরনের মার্কেটিং মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক ও পরিবেশগত দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্পর্কে সামাজিক দায়িত্ব ও পরিবেশগত দায়িত্বের উপর ভিত্তি করে। এটি আরও অন্যান্য কোম্পানির জন্য একটি সামাজিক দায়িত্বশীল মুখোমুখি করা সাধারণভাবে উপযোগী হয়।

সিপিএ মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত হতে পারে:

সামাজিক দায়িত্ব: এটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি সামাজিক দায়িত্বের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং সামাজিক উন্নতির সাথে সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলি বিন্যাস করে।

সামাজিক সংস্কার বা সরবরাহের সাথে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা: সিপিএ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য হলো লাভের সাথে সমাজসেবা এবং গ্রাহকদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সংস্থান এবং সামাজিক উন্নতির সম্পর্কের প্রতিষ্ঠান মতামত।

সামাজিক মূল্য বা সামাজিক উন্নতি: সিপিএ মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা প্রতিষ্ঠানের সামাজিক মূল্য এবং সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে বিপণন এবং উৎপাদনের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নেয়।

সামাজিক আত্ম-স্বীকৃতি এবং সামাজিক বিষয়বস্তুর প্রমোটিং: সিপিএ মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা প্রতিষ্ঠানের উন্নতিকে প্রচার এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে গ্রাহকদের মধ্যে সংস্থান তৈরি করে এবং তা প্রচার করে।

সিপিএ মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সংস্থানের সাথে আপেক্ষিক মিলন এবং তাদের প্রতি নিয়মিত করে তাদের প্রতি প্রেরণা এবং বিন্যাস প্রদর্শন করে। এটি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়িত্বশীলতা ও সামাজিক মূল্য নির্ধারণে প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে গ্রাহকদের মধ্যে সংস্থান তৈরি করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

ডিজিটাল বিপণন মূলত বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে কারণ এটি এত ব্যাপক শ্রোতাদের কাছে পৌঁছেছে। যাইহোক, এটি অন্যান্য অনেক সুবিধাও অফার করে যা আপনার বিপণন প্রচেষ্টাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এগুলো হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু সুবিধা।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?

দেখুন কিভাবে বর্তমান বিশ্ব বাজার ব্যবস্থা একটি ডিজিটাল শিল্পে রূপান্তরিত হচ্ছে। সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষ পণ্য কিনতে দোকান বা বাজারে যাওয়া বন্ধ করবে। তারা অনলাইনে সবকিছু কিনবে। কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে জীবনযাত্রা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।

এবং লোকেরা অনলাইনে যে কোনও পণ্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে পারে এবং পণ্যটি পরীক্ষা করতে বাজারে গিয়ে সময় নষ্ট না করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা জানতে পারে। এবং পছন্দ হলে, পণ্যটি বিশ্বস্ত বিক্রেতার কাছ থেকে অনলাইনে কেনা যাবে।

আর এই অনলাইন বাজার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। আপনি এখন ডিজিটাল মার্কেটিং আয়ত্ত না করলে, আপনি এই বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ মানুষ যদি অনলাইনে আপনার পণ্য সম্পর্কে না জানে, অথবা তারা যদি অনলাইনে আপনার পণ্য কিনতে না পারে, তাহলে কোনো গ্রাহক আপনার পণ্য কিনবে না।

আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসা সফল দেখতে চান, এখনই সময়। নিজেকে এবং আপনার ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় আনার এবং গ্রাহকদের কাছে আপনার পণ্যগুলিকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার এখনই সেরা সময়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url


ad

ad